বাড়ন্ত শিশুদের জন্য খাবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমাদের শিশুরা কী খায় সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়া খুবই জরুরি। শিশুদের খাবারে সঠিক পুষ্টি দিতে হবে যাতে তারা রোগ প্রতিরোধ করতে পারে এবং সুস্থ হতে পারে। আপনার শিশু যদি দুর্বল হয় তাহলে তাকে উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার দিতে হবে।
যদি আপনার শিশুর ওজন কম হয়, তাহলে সে পড়াশোনা, খেলাধুলা ইত্যাদি করার সময় একটু ঘাম ঝরবে। তাই বাচ্চাদের উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার দিন যাতে তারা সুস্থ জীবনযাপন করে।
এখানে কিছু উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার রয়েছে যা বাচ্চাদের প্রতিদিন খাওয়া উচিত।
1. কলা
কলায় ভিটামিন B12, B6, আয়রন এবং প্রচুর ফসফরাস রয়েছে, যা শিশুদের সারা দিন প্রচুর শক্তি দেয়। কলা কেটে দুধ দিয়ে দিতে পারেন বা দুধ দিয়ে ঝাঁকিয়ে নিতে পারেন।
2. ঘি এবং মাখন
ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে চর্বি, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ই, যা শিশুর মস্তিষ্ককে শাণিত করে এবং শিশুর শারীরিক গঠন ও বৃদ্ধির উন্নতি ঘটায়।
3. ডিম
ডিমে প্রোটিন, শক্তি এবং খনিজ উপাদান রয়েছে যা অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। ডিমের কুসুমে অনেক ক্যালরি থাকে যা শিশুর শারীরিক গঠনে সাহায্য করে।
4. পনির
পনির শিশুদের একটি প্রিয় খাবার, এটি বেশিরভাগই উপরে ছড়িয়ে দেওয়া হয় বা খাবারে মেশানো হয় যাতে এটি সুস্বাদু এবং সমৃদ্ধ হয়। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন B2, B12, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে।
5. আলু
আলু শিশুদের প্রিয় খাবার। আমরা শিশু আলু সিদ্ধ, ম্যাশ বা ভাজতে পারি। এতে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট রয়েছে।
6. চর্বিযুক্ত মাছ
মাছ লাইপোপ্রোটিন, ওমেগা 3 এবং প্রোটিনের বৃহত্তম উত্স। এটি শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
7. বাদাম এবং শুকনো ফল
বাদাম এবং শুকনো ফল শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বাচ্চারা দুধের সাথে খেতে পারেন বা সারারাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খেতে পারেন। এটি শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ ঘটায় এবং শক্তি সঞ্চয় করে।
Read More: ওজন বাড়ানোর সহজ উপায়, মোটা হওয়ার সহজ ১০টি কার্যকরী উপায়
8. দুধ
দুধ আমাদের খাদ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট, প্রোটিন, ভিটামিন বি 12 রয়েছে। দুধে প্রচুর ক্যালোরি থাকে তাই এটি শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
9. গোটা শস্য
চাল, বাজরা এবং ওটমিলের মতো সিরিয়াল শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এটি শিশুদের শক্তি সংরক্ষণ করতে সাহায্য করে।
10. অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি৬, ই, সি, কে এবং চর্বি থাকে, যা ক্যালোরিতে বেশি। বাচ্চারা অ্যাভোকাডো খেতে পছন্দ করে কারণ এটি মাখনের মতো নরম।
11. ডাল
ডালে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে। আর আছে প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফাইবার ও পটাশিয়াম। ডাল খুব দ্রুত হজম হয়। অনেক বাচ্চারা ডাল পছন্দ করে না তাই আমাদের উচিত তাদের ডাল পরাঠা, টিক্কি ইত্যাদির সাথে মিশ্র ডাল খাওয়ানো।
আপনি যখন আপনার শিশুকে খাওয়াবেন তখন খাবারে এই সমস্ত পুষ্টি এবং ক্যালোরি যোগ করুন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন